Ticker

6/recent/ticker-posts

খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

 খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা: খাওয়ার নিয়ম, অপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

 

সুচিপত্র

♦লবঙ্গের খাওয়ার যতো উপকারিতা

♦লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

♦লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম

♦লবঙ্গের অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

 

✅লবঙ্গের খাওয়ার যতো উপকারিতা:

লবঙ্গ মশলা হিসাবে পরিচিত। এর ইংরেজি নাম Clove, এবং এর বোটানিক্যাল নাম Syzygiumaromaticum। একে বিভিন্ন জায়গায় ড্রাগনও বলা হয়। এটিতে অ্যান্টিসেপটিক এবং ব্যথানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

 

প্রতিটি 100 গ্রাম লবঙ্গে রয়েছে 65 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, 6 গ্রাম প্রোটিন, 13 গ্রাম মোট চর্বি, 2 গ্রাম চিনি, 274 কিলোগ্রাম শক্তি এবং 33 গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার।

 

 

ভিটামিন B-6, B-12, C, K, D, A, E, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন ইত্যাদি রয়েছে।

 

এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক ইত্যাদি।

 

✅লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা:

1. সর্দি-কাশির চিকিৎসা করে: লবঙ্গ বহু বছর ধরে সর্দি-কাশির প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ চিবিয়ে তার রস গিলে খেলে বা মুখে লবঙ্গ চেপে রাখলে সর্দি, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 

2. মাথাব্যথা কমায়: কখনও কখনও আমরা ঠান্ডার কারণে শ্লেষ্মা বৃদ্ধি অনুভব করি। এ ধরনের মাথাব্যথা বা মাথাব্যথা দূর করতে লবঙ্গ চা খুবই কার্যকরী। এক কাপ চায়ে 2-3 লবঙ্গ যোগ করুন। সম্ভব হলে আদা দিয়ে চা বা গরম পানি পান করলে মাথাব্যথা দূর হয়।

 

 

3. ব্রণ চিকিত্সা: লবঙ্গ ব্রণ চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা হয়. ব্রণ সারাতে বা ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গের পেস্ট কিছুক্ষণ ব্রণের ওপর লাগান। উপরন্তু, লবঙ্গ খাওয়া ব্রণ উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

 

4. ক্ষুধা বৃদ্ধি: পেটের সমস্যা এবং জ্বরের পরে, আমরা মাঝে মাঝে ক্ষুধা হ্রাস অনুভব করি। আপনার সামনে অনেক সুস্বাদু খাবার রাখলেও খাবারের স্বাদ আসবে না। সেক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খান এবং দুপুরের খাবারের পর খাবারের স্বাদ ফিরে আসে।

 

5. হজমের উন্নতি করুন: হজমের সমস্যা এমন একটি বিষয় যা আমরা প্রতিদিন মুখোমুখি হই। অনেক সময়ই দেখা যায়, হার্টের খাবার খাওয়ার পর পেটে থাকা খাবার সহজে হজম হতে চায় না। এনজাইম নিঃসরণ এবং অ্যাসিড নিঃসরণের মাধ্যমে হজমে সহায়তা করে। লবঙ্গে পাওয়া যায়। তাই এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় করে। এছাড়াও গ্যাস, পেটের সমস্যা, বদহজম এবং বমিভাব কমাতে সাহায্য করে। উপরন্তু, এটি শরীরের রক্ত ​​​​প্রবাহ উন্নত করে।

 

6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস এখন একটি বিরল রোগ। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যে লবঙ্গের রস শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করে। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে। নিয়মিত লবঙ্গ খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

 

7. শ্বাসযন্ত্রের রোগ থেকে মুক্তি দেয়: শ্বাসযন্ত্রের রোগের চিকিৎসায় লবঙ্গের বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে। লবঙ্গ চিবানো এবং রস গিলে নিলে শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 

8. ক্যান্সার প্রতিরোধ: লবঙ্গ ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লবঙ্গ স্তন ক্যান্সার এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।

 

9. নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে: নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গের বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে নিন। আপনার মুখে এইভাবে কয়েকটি বড়ি চিবিয়ে নিন এবং আপনার নিঃশ্বাস সতেজ হবে। আপনার মুখের বাজে স্বাদ দূর হবে।

 

10. জ্বর কমায়: লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যার ফলে শরীরে ভাইরাস মেরে যায়। তাই ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। যাইহোক, একবার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়ে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে যায়।

 

 

11. রক্ত ​​বিশুদ্ধ করে: লবঙ্গ শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করতে পারে। ফলে রক্ত ​​পরিশুদ্ধ হয় এবং রক্ত ​​পরিশুদ্ধ হয়।

 

✅লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম:

আমরা রান্নায় লবঙ্গ ব্যবহার করি কারণ লবঙ্গ একটি মশলা।

 

একটি রান্নার মশলা ছাড়াও, এটি যে কোনও উপায়ে খাওয়া যেতে পারে:

1.চা দিয়ে খাওয়া যায়। চা গরম করার সময় 4-5 লবঙ্গ যোগ করা ভাল কাজ করে।

 

2. গরম জলে সিদ্ধ করে খাওয়া যায়।

 

3. লবঙ্গ মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

 

4. সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া বেশি কার্যকর।

 

5. তাছাড়া মুখে দিয়ে চিবিয়ে খাওয়া যায়।

 

 

 

✅লবঙ্গের অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

লবঙ্গের অনেক উপকারিতা থাকলেও সব খাবারের মতো এর কিছু ভালো গুণ এবং কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। লবঙ্গের উপকারিতা ছাড়াও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।

 

1. অনেক বেশি লবঙ্গ খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।

 

2. লবঙ্গ তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

 

3. প্রচুর পরিমাণে লবঙ্গ খেলে শরীরে রক্ত ​​পাতলা হতে পারে।

 

 

 

 


Post a Comment

0 Comments